ইংল্যান্ডের হৃদয় ভেঙে প্রথমবার স্বপ্নের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া

সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার হারাতে পারলেই সোনালী ট্রফি জয়ের স্বপ্নের খুব কাছে চলে যেত ইংলিশরা। তবে পারল না। প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিল ১৯৬৬ চ্যাম্পিয়নরা।

ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া। শুরুটা দুর্দান্ত করে ইংলিশরা। ৫ মিনিট না ঘুরতেই গোল পেয়ে যায় তারা। কেইরান ট্রিপারের দুর্দান্ত ফ্রি-কিক গোলকিপার ড্যানিয়েল সুবাসিচকে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় ক্রোয়েশিয়ার জালে। এতে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড।

এরপর দারুণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে ইংল্যান্ড। মুহুর্মুহু আক্রমণে ক্রোয়েশিয়াকে ব্যতিব্যস্ত রাখে তারা। ১৪ ও ৩৬ মিনিটে দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন হ্যারি ম্যাগুইরে ও জেসি লিঙ্গার্ড।

এর মাঝে ও পরে পাল্টা আক্রমণে সুযোগ সৃষ্টি করেছিল ক্রোয়েশিয়াও। ১৯ ও ২৩ মিনিটে নাগালে পাওয়া সুযোগ হাতছাড়া করেন ইভান পেরেসিচ। আর ৪৩ মিনিটে মিস করেন সিমে ভ্রাসালকো। ফলে ১-০ গোলে পিছিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

বিরতির পর মরিয়া হয়ে উঠে ক্রোয়েশিয়া। আপ্রাণ চেষ্টা করে গোল পেতে। হানে একের পর এক আক্রমণ। অবশেষে তাদের প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখে। ৬৮ মিনিটে সিমে ভ্রাসালকোর অনন্যাসাধারণ থ্রু থেকে নিশানাভেদ করেন ইভান পেরেসিচ। এতে লড়াইয়ে ফেরে ক্রোয়েশিয়া।

এতে জমে উঠে ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া লড়াই। পরে অ্যাটাক-কাউন্টার অ্যাটাকে এগিয়ে চলে খেলা। তবে কেউই গোলমুখ খুলতে পারেনি। ফলে ১-১ সমতাতেই শেষ নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা। স্বভাবতই অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় দুই ইউরোপিয়ান দলের দ্বৈরথ।

অতিরিক্ত সময়ের শেষের দিকে ১০৮ মিনেটে জয়সূচক গোলটি করেন মানজুকিচ। তাতে নিজিদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠে গেল ক্রোয়েশিয়া।